ভারতে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এবং বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা বাড়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকে মাস্ক ছাড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও কাস্টমস এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে চেকপোস্টে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও অনেক যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন, কিছু যাত্রীকে উদাসীন দেখা গেছে। তবে অধিকাংশ যাত্রীই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত ইতিবাচক। ভারতে থাকাকালেও আমাদের মাস্ক পরে চলতে হয়েছে। একই নিয়ম এখানে দেখেও ভালো লাগছে। এখন থেকেই সতর্কতা নিলে আগের মতো পরিস্থিতি হয়তো আর হবে না।’
আরেক যাত্রী নিরঞ্জন কুমার বলেন, ‘ছেলেকে ভারতে পড়াশোনার জন্য পৌঁছে দিতে এসেছি। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ দেখে ভালো লেগেছে। এটি স্বাস্থ্যসচেতনতার ভালো দৃষ্টান্ত।’
পাবনা থেকে আগত যাত্রী নাহিদ হোসেন বলেন, ‘করোনা বাড়ছে—এই অবস্থায় মাস্ক পরা শুধু দায়িত্ব নয়, নিজেদের সুরক্ষাও।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই আবু তালেব জানান, করোনা প্রতিরোধে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ঈদের ছুটি থাকায় মেডিকেল টিম এখনও কাজ শুরু করেনি। আগামীকাল থেকে তারা স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, ‘আজ মেডিক্যাল টিম বসানো সম্ভব হয়নি, তবে আগামীকাল (১০ জুন) থেকে ইমিগ্রেশন পয়েন্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালু হবে।’