শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই শিশুর পিতা চারজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ওই শিশুর পরিবার জেলা শহরের শিমরাইল কান্দি মহল্লায় ভাড়া থাকে। ধর্ষণের চেষ্টাকারী ব্যক্তির নাম কানু মিয়া। পেশায় রিকশাচালক। তিনিও একই মহল্লায় বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
শিশুর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে শিশুটি বাড়ির সামনে অন্যদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় পাশের বিল্লাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া রিকশাচালক কানু মিয়া (৪৮) চিপস খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। সে সময় শিশুটির বাড়ির মালিক মিজান মিয়া ও রিকশা চালক কানু মিয়ার বাড়ির মালিক বিল্লাল মিয়া বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু শিশুটির পরিবার এতে রাজি হয়নি। পরে সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উভয় বাড়ির মালিক বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে শিশুটির পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে রাজি না হওয়ায় মিজান মিয়া শিশুটির ঘরে তালা দিয়ে দেন। পরে সোমবার শিশুটির মা, স্বামী, দুই ছেলে ও ওই শিশুকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। কোনও উপায় না পেয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে নিয়ে সদর থানায় উপস্থিত হয় তার পরিবার। সদর থানা পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।  
শিশুটির মা বলেন, রিকশাচালক কানু মিয়া পরিবার নিয়ে শিমরাইলকান্দি এলাকায় বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বিল্লাল মিয়া ও আমার বাড়ির মালিক মিজান মিয়া, তার স্ত্রী ও বোন বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধানের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগে রিকশাচালক কানু, আমার বাড়ির মালিক মিজান, মিজানের স্ত্রী ইতি বেগম ও রিনা বেগমসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, শিশুর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই শিশুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।