‘যৌন হয়রানি রোধে প্রত্যেক অফিসে অভিযোগ বক্স রাখা গুরুত্বপূর্ণ’

সভায় আলোচনা করছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরযৌন হয়রানির শিকার নারীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন, স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হয়রানির শিকার হয়ে মুখ খুলে অভিযোগ করার মাধ্যম পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ করার মতো জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। প্রত্যেক অফিসে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কমিটি গঠন প্রয়োজন। সঙ্গে অভিযোগ বক্স রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) এইড-কুমিল্লার সিজিবিভি প্রকল্পে যৌন হয়রানি নীতিমালার উদ্বোধন এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যেসব নারী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে অভিযোগের সঠিক মাধ্যম পান না। তাদের জন্য অনলাইন কমপ্লেইন বক্সের ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনও না কোনও মাধ্যমে আমার কাছে অনেক যৌন হয়রানির অভিযোগ আসে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্ব স্ব এলাকার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনারকে (এসিল্যান্ড) দায়িত্ব দিয়ে থাকি। যৌন হয়রানি ঘটনা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনতে সমাজের সবাইকে মানসিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’

সভায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার শামীম আরা,  ইনক্লুশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা আফরোজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী।