টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া গ্রামের ২৬ বছরের যুবক মোহাম্মদ ইসহাক জন্মের পর থেকেই পিতৃত্ব থেকে বঞ্চিত। পিতার পরিচয় জেনেও এত বছর চুপ ছিলেন। দূর থেকে নীরবে চোখের পানি ফেলেছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বাবা ডাকার সুযোগ হয়নি।
কোনও উপায়ন্তর না দেখে এবার প্রকাশ্যে এলেন ওই যুবক। আদালতে মা সুফিয়া খাতুনকে বিবাদী করে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিকে পিতৃত্বের মর্যাদা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পিতৃ পরিচয় নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করারও আবেদন করেছেন তিনি। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মোহাম্মদ ইসহাক আরও জানান, তার বয়স বাড়ার কারণে পিতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলে মিলে আবদুর রহমান বদির ছোট বোন শামসুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু আবদুর রহমান বদি কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই কোনও উপায় না দেখে পিতৃত্বের দাবিতে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।
জানতে চাইলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদী মোহাম্মদ ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেছেন সেটি মায়ের স্বীকারোক্তি। ওই সময়ে বিয়ে পড়ানো মৌলভী আবদুস সালাম ও সাক্ষী এখলাছ এখন বেঁচে নেই। মা সুফিয়া খাতুনের উপর নির্ভর করে বাদী পিতৃত্ব দাবি করে আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি আদালত দিন ধার্য করেছেন।