পেটে লাথি মেরে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ: বাবা-ছেলে গ্রেফতার

কুমিল্লা নগরীতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শিল্পী আরমানের পেটে লথি মেরে নবজাতককে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আবুল কালাম ও তার ছেলে শরীফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এছাড়া কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কিবরিয়া।

এর আগে নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়া পাড়ার সোহেল আরমানের সঙ্গে বসতবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে পাশের বাড়ির তার মামা আবুল কালামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবুল কালামের পরিবারের লোকজন সোহেল আরমানের স্ত্রী শিল্পী আরমানকে মারধর করে। একপর্যায়ে আবুল কালামের স্ত্রী শাহনাজ বেগম সোহেল আরমানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিল্পী আরমানের পেটে লাথি মারে। এতে প্রসব যন্ত্রণায় পরদিন সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই গৃহবধূকে। তিনি ছেলেসন্তান প্রসব করার পর নবজাতকের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর মৃত সন্তান কোলে নিয়ে সোহেল দম্পতি পথে পথে ঘুরে বিকালে কোতোয়ালি মডেল থানায় যান এবং গৃহবধূ শিল্পী আরমান বাদী হয়ে রাতে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। বাংলা ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার অধীন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কিবরিয়া জানান, এ ঘটনায় শিল্পী আরমান বাদী হয়ে দাখিল করা অভিযোগটি সোমবার দিবাগত রাতে থানায় এফআইআর করা হয়েছে। এ মামলায় আবুল কালাম, তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম, মেয়ে লিমা, ছেলে শরীফ, আরিফ ও মেয়ের জামাতা সফিককে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে আবুল কালাম ও তার ছেলে শরীফকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।