এসিড নিক্ষেপের এক মাস পরেও গ্রেফতার হয়নি কোনও আসামি

খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় এক কিশোরীকে এসিড নিক্ষেপের এক মাস পরেও গ্রেফতার হয়নি কোনও আসামি। তদন্তের নামে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের পরিবার। ওই কিশোরী উপজেলার ছোট মেরুং হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

ভিকটিম ও মামলার বাদীর বাবার অভিযোগ, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উঠানে রাখা ড্রামের পানি দিয়ে হাত মুখ ধোয়ার সময় ঘরের দক্ষিণ পশ্চিম কোন থেকে অজ্ঞাতনামা ২/৩ ব্যক্তি তার মেয়েকে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার মেয়ের শরীরের ডান দিক, ডান হাত, শরীরের এক অংশ এবং পায়ের উপরিভাগ পুড়ে গেছে। ভিকটিমের চিৎকারে তার বড় ভাই এবং মা এগিয়ে গেলে এসিড নিক্ষেপকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করি এবং ঘটনার কয়েকদিন পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করি।

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি তিনি ও তার মেয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে ভিন্ন একটি মামলার সাক্ষী দিতে গেলে তাদের এলাকার বাবুল মিয়া (৩৫), সরাফত আলী(৪৫), মিজানুর রহমান (৩৮), মো. আশ্রাফুল (২৭), মো. জসিম (৪০), মো. সাগর আলী (৫০) তাদের হুমকি দেয়।

এ কারণে তার সন্দেহ এসব ব্যক্তি তার মেয়ের গায়ে এসিড নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িত। তার দাবি, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেননি।  উল্টো তদন্তের নামে গড়িমসি করছে। 

এ বিষয়ে দিঘীনালা থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার দেব জানান, মামলা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এজাহারে ৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা তাদেরকেও জিজ্ঞেসাবাদ করা অব্যাহত রেখেছি। সত্যতা পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।