আরেক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট বাদল জেল হাজতে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) তাকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চাপরাশিরহাট বাজারে পুলিশের উপর হামলার মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। এছাড়াও পুলিশ তাকে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ হাওলাদার।

সকালে কড়া পুলিশ পাহারায় বাদলকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পুলিশের উপর হামলা মামলার পাশাপাশি তাকে বিস্ফোরক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। আদালত তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর অনুমতি দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে গত ৮ মার্চ বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বরে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তার স্ত্রী আরজুমান পারভীন কাদের মির্জাকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করেছেন। ওই মামলায় শুনানি শেষে দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনিকে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ হাওলাদার।

উল্লেখ্য, সোমবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের স্ত্রী আরজুমান পারভীন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি, ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতে। মামলায় মির্জার ভাই শাহাদাত হোসেনকে দ্বিতীয় ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের ওরফে তাশিক কাদেরকে তৃতীয় আসামি করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান আদেশ দেন, এ মামলা নেওয়ার এখতিয়ার এ আদালতের নেই। তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে পাঠান।