সৈকতে আরও একটি মৃত তিমি

কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে আরও একটি বিশালাকার মৃত তিমির মৃতদেহ ভেসে এসেছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে হিমছড়ি বড় ঝর্ণার দক্ষিণের সৈকতে এ মৃত তিমিটি ভেসে এসে বালিয়াড়িতে আটকে পড়ে। এ নিয়ে গত দুইদিনে দুটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। ভেসে আসা তিমির শরীরে পচন ধরেছে এবং সেটি প্রায় গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

কক্সবাজার সমুদ্রসম্পদ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান মফিজ জানান, দুটি কারণে তিমি মাছ মারা যায়। প্রথমত, বয়সকাল পার হলে তিমি আত্মহত্যা করে। আর নয়তো বঙ্গোপসাগরে জাহাজ চলাচলের সময় আঘাতের কারণে তিমি দুটি মারা যেতে পারে। তিনি বলেন, তিমিটির ওজন আনুমানিক আড়াই টনের মতো।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. হুমাযুুন কবির। তিনি বলেন, পরপর দুটি মৃত তিমি সাগর থেকে ভেসে এসেছে। ভেসে আসা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে কীভাবে তিমি দুটি মারা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বয়স জনিত কারণে তিমি দুটির মৃত্যু হতে পারে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুর্গন্ধ এড়াতে শুক্রবার সাগর পাড়ে আটকে থাকা তিমিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। আজ আসা তিমিটিও মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। তবে দুই মাস পর তিমি দুটির কঙ্কাল সংগ্রহ করা হবে। এটি বিভিন্ন মিউজিয়ামে প্রদর্শনের পাশাপাশি গবেষণার কাজেও ব্যবহার হবে’

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান জানান, তিমি দুটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও জানা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক বলেন, ‘সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির তিমি রয়েছে। ভেসে আসা তিমি দুটি আসলে কোন প্রজাতির তা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, ভেসে আসা প্রথম তিমিটি রাতে আমরা মাটিচাপা দিয়েছি। একইভাবে শেষের তিমিটিও নমুনা সংগ্রহের পর মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে বিশালাকার তিমির মৃতদেহ ভেসে আসে। একইভাবে শনিবার সকালে আরও একটি তিমির মৃতদেহ সৈকতে এসে আটকা পড়ে।