হাতিয়ায় ৫ কিশোরকে নির্যাতনকারী সেই চৌকিদার গ্রেফতার

নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাল চুরির অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে নির্যাতনকারী সেই চৌকিদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে চরকিং ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটক চৌকিদার আমির হোসেন (৪০) উপজেলার চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার এবং একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হোসেন আহমদের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে গ্রেফতার মাতব্বর শ্রীহরি জলদাস, নেপাল জলদাস, বিধান জলদাস, রায়মোহন জলদাস, প্রিয়লাল জলদাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

হাতিয়া থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে নির্যাতনের শিকার এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা করেন। এখন পর্যন্ত ওই মামলার ছয় আসামিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লুকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার গ্রাম্য সালিশে কিশোর জেলেদের দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলো– উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লুকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা সহদেব জলদাস (১৫), কিরণ জলদাস (১৫), শিশুপদ জলদাস (১৬), সমূল্য জলদাস (১৫), রতন জলদাস (১৬)। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে হাতিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জেলেপাড়ার নারী-পুরুষের সামনে পাঁচ কিশোরকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এই সময় ওই পাঁচ কিশোর এবং তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা আহাজারি করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। কান্নারত নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।