মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুছার স্ত্রীর জিডি

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় তিনি জিডি করেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জিডিতে পান্না আক্তার উল্লেখ করেন, সোমবার (৩১ মে) তিনি মিতু হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেউ তার ক্ষতি করতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে তিনি থানায় জিডি দায়ের করেন।’

এর আগে সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ রেজার আদালতে পান্না আক্তার জবানবন্দি দেন। পান্না আক্তারের স্বামী কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা আলোচিত মিতু হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। গত ১২ মে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন। মামলায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ আছেন কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা। তবে তার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, মুসাকে ওই বছরের ২২ জুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মুছা নিখোঁজ রয়েছেন।

মিতু হত্যাকাণ্ডের পর মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার স্বামী সম্পর্কে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, একসময় মুছা সৌদি প্রবাসী ছিলেন। ২০০২ সালে দেশে ফিরে বালু সরবরাহের ব্যবসা শুরু করেন। তখন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ২০০৩ সালে বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর মুছা বাবুল আক্তারের ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাবুলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সোর্স ছিলেন মুছা।