ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুমার নামাজের বয়ান নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জুমার নামাজের বয়ান নিয়ে বিতর্কের জের ধরে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুন) জুমার নামাজের পর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোপীনাথপুর গ্রামের হাজী ও ভূঁইয়া গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পূর্ব-বিরোধের জেরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।

শুক্রবার গোপীনাথপুর মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে খতিব মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী বয়ান রাখেন। এ নিয়ে নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হয়ে ভূঁইয়া গোষ্ঠীর চুনু মিয়ার ছেলে শিপন মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার হাজী গোষ্ঠীর রশিদ মিয়ার ছেলে খায়ের মিয়ার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এরই মধ্যে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে হাজী গোষ্ঠীর মোশারফ হোসেন (৪০), খায়ের মিয়া (৩৫), রশিদ মিয়া (৩০), সিরাজ মিয়া (৬০), রইস মিয়া (৬৫), বাহার মিয়া (৫৫), রশিদ মিয়া, জাবের হোসেন (৩৫); ভূঁইয়া গোষ্ঠীর শিপন (৪০), কামাল মিয়া (৫০), এমরান (৩০), হাবিবুল্লাহ (২৫), মরিয়ম (৩০) ও হোসনে আরা বেগমকে (৬৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল এবং স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাদ হাজারি আঙ্গুর বলেন, সংঘর্ষের কথা শুনে খোঁজখবর নিয়েছি। ওই এলাকার ইউপি সদস্য (মেম্বার) বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়ভাবে এটি সমাধান করে দেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এখনও কোনও পক্ষ থানায় মামলা করেনি। এমনকি অভিযোগও দেয়নি।