বাজারে বিক্রি করতে সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন

অসহায় মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ করা ১৩০০ কেজি চালের বস্তা পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রির উদ্দেশে নেওয়ার সময় একটি ঠেলাগাড়িসহ আটক করেছে স্থানীয়রা।

বুধবার (১৬ জুন) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের কাছে নৌকাঘাটে এসব চাল আটক করা হয়। খবর পেরে নাসিরনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চালগুলো জব্দ করে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৫ জুন) গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীর মাঝে ভিজিডি কর্মসূচির ৩৮০০ কেজি চাল বিতরণ করার কথা ছিলো। কিন্তু সব চাল বিতরণ না করে কালোবাজারির কাছে ১৩০০ কেজি বিক্রি করে দেয়।

বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে নৌকাঘাটে গোয়ালনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া এ চালের সরকারি বস্তা পরিবর্তন করছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নৌকাঘাটে যায়। এ সময় চাল পাচারকারী মমিন মিয়া, শফিকুল মিয়া ও নাসিরনগরের একজন চাল ব্যবসায়ী স্থানীয়দের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যান।

একটি ঠেলাগাড়িসহ ৪৪ বস্তা (১৩০০ কেজি) চাল আটক করে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করলে পুলিশ এসে চাল উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিলক মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদের কাছে প্রকাশ্যে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে চাল পাচার করছিলেন কয়েকজন। আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে, সবাই মিলে চাল আটক করি।
উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ পাঠায়। পরে চাল গুলো জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বাড়িতে নেই। শুনেছি গোয়ালনগর ইউনিয়নের মমিন মিয়া ও শফিকুল মিলে উপকার ভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে নাসিরনগরের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা একটি ঠেলাগাড়িসহ চাল আটক করে। পরে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি।

এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়ে ফোন করে আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।