রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, নিরাপদ স্থানে যেতে মাইকিং

টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৯ জুন) রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী, যুব উন্নয়ন এলাকা, রূপনগর, সনাতনপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য আহ্বান জানায় জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক কেচিনু মারমা বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১.১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এজন্য পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়ছে।

পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে এসেছেন তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে যারা এখনও সরে আসেনি তাদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তাদের বোঝাচ্ছেন। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আইন অনুযায়ী পাহাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে আনার জন্য আমরা বাধ্য করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, যদি বোঝানোর পরও তারা যদি সরে না আসে তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করবো। পৌর এলাকায় ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা রয়েছে। সেখানে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পৌর এলাকার ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসহ পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরও সচেতন হয়নি পাহাড়ের বাসিন্দারা।