শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম পাঠানোর কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন

ফেনীর পরশুরামে শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম পাঠানোর অভিযোগে স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে হাত-পা এবং মাথায় আঘাত করে ইট দিয়ে মাথা ও পিঠ থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইয়াকুব আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) রাতে পুলিশ ইয়াকুব ও তার বাবা আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করেছে।

পরশুরাম মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার রাতে পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে গৃহবধূ ফারজানা আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ফারজানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তার স্বামী মাদকাসক্ত। চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি এবং তুচ্ছ কারণে এর আগেও বহুবার তাকে মারধর করেছে। রবিবার তার বাবার বাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল পাঠানো হয়। সেগুলো দেখে কম হয়েছে এমন অজুহাতে শ্বশুর কাশেম তাকে নাজেহাল করে। সে ওই ফল ফেরত পাঠিয়ে দিতে বলে। পরে রাতে তার স্বামী ইয়াকুব এই ঘটনার রেশ ধরে তার উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালায়।

পুলিশের হাতে আটক ভুক্তভোগীর স্বামী ইয়াকুব আলী স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে কথাকাটাকাটিকে নির্যাতনের ঘটনা আখ্যা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে।

পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার রোকসানা সুরাইয়া জানান, ফারজানা আক্তারের শরীরের একাধিক স্থানে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। তার মাথা হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, সাতকুচিয়া গ্রামের আবুল কাশেম বেন্ডরের ছেলে এয়াকুবের(৩৫) সঙ্গে উত্তর চন্দনার ফারজানা আক্তার সুমির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এর আগেও ফারজানাকে মারধরের অভিযোগে পরশুরাম থানা মামলা হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে পুনরায় তারা সংসার শুরু করেন।