পলিথিন কারখানা বন্ধের ঘোষণা চট্টগ্রামের মেয়রের

নগরীর পলিথিন কারখানা চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘পলিথিন কারখানা বন্ধের জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা স্ব স্ব ওয়ার্ডে কোনও পলিথিন কারখানা থাকলে তার তালিকা পরিবেশ অধিদফতরের কাছে জমা দেবেন। অসম্ভব বলে কিছু নেই। নগরবাসী ও ব্যবসায়ীদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পলিথিন বন্ধের মূল উদ্দেশ্য, চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করা।’

বুধবার (৩০ জুন) নগরীর টাইগার পাস এলাকায় সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘পলিথিন মুক্ত চট্টগ্রাম’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আ স ম জামসেদ খোন্দকার, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন পাহাড় কাটা বন্ধ করা, পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের মাটি নালা-খালে ফেলা বন্ধ করার ব্যাপারে সব সেবা সংস্থাকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘আমরা সাধারণত পাঁচ ধরনের পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। নাগরিকদের যত্রতত্র পলিথিন না ফেলার জন্য সচেতন করতে হবে এবং পলিথিন ডাম্পিং করা ঠিক হবে না।’ তিনি চসিককে আবাসিক গৃহ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সবুজ ও লাল রঙের বিন সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে আবর্জনার পাশাপাশি পলিথিনও আলাদা করা যাবে।

তিনি পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়ে বলেন, ‘নগরীর কিছু প্রভাবশালী মহল রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে পাহাড় কাটে। ফলে পলিথিনের মতো পাহাড়ের বালিও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।’

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পলিথিন বন্ধের পক্ষে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে বলেন। প্রয়োজনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রত্যেক সেবা সংস্থাকে নিয়ে একদিন পলিথিন মুক্ত ও আবর্জনা পরিষ্কারের কর্মসূচি গ্রহণ এবং পলিথিন বন্ধে জরিমানার ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব করেন তিনি।