আড়াই বছরেও দালাল থেকে পাননি পাসপোর্ট, অবশেষে হামলায় নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল কাদির (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কাদির শোলাবাড়ি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে ইরাক যাওয়ার জন্য পাশের গ্রামের আদম ব্যবসায়ী রমজান মিয়ার কাছে পাসপোর্টসহ সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন আব্দুল কাদির। ইরাকে যাওয়ার পর ৯ দিন জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন। এ ঘটনার পর আব্দুল কাদির বিষয়টি পানিশ্বরের ইউপি চেয়ারম্যান দীন ইসলামকে জানান। পরে চেয়ারম্যান এ নিয়ে এলাকায় সালিশ করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, আদম ব্যবসায়ী রমজান ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট ভুক্তভোগী আব্দুল কাদিরকে দিয়ে দেবেন। পরে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফেরত দিলেও পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি রমজান মিয়া।

এ নিয়ে আব্দুল কাদির ও রমজানের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। পাসপোর্ট ফেরত পেতে আজ বিকালে স্থানীয় পশ্চিম পাড়ার কর্টাইল্যা হাটি এলাকার মলাই মিয়া সরদারের সঙ্গে দেখা করেন যান কাদির। সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে এলাকার মসজিদের পাশে রমজান মিয়ার ২০/২৫ লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ নিয়ে আব্দুল কাদিরের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল আনা হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা মুহাম্মদ সাইফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, পূর্বে বিদেশ যাওয়ার ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এ বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুর কাদির প্রাণ হারায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।