চবিতে প্রহরীকে পেটালেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা!  

নির্দেশনা মেনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দ্বিতীয় প্রধান ফটক বন্ধ রাখায় কর্তব্যরত প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমন নাছির ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। রবিবার (১১ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় দুই নম্বর গেটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় নিরাপত্তার স্বার্থে গেট না খোলার নির্দেশনা রয়েছে। আর গেট না খোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমন নাছির ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। পরে মারধরে আহত প্রহরীকে উদ্ধার করে চবি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মারধরের শিকার প্রহরী শাহাদাৎ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লকডাউন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলাচল সীমিত করতে দুই নম্বর গেটে বন্ধ রেখেছে। কিন্তু সেখানে দায়িত্ব পালনকালে সুমন নাছিরসহ তার অনুসারীরা গেট খুলতে বলেন। কিন্তু গেট বন্ধ রাখায় তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমার মাথা ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। পরে সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে চবি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে আসে।

চবি মেডিক্যাল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউল গণি বলেন, ওই নিরাপত্তাকর্মী মাথা ও বুকে আঘাত পেয়েছেন। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। কয়েকটি পরীক্ষাও করতে হবে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে আঘাত গুরুতর কিনা।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সুমন নাছির। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গেটের চাবি চাইলে প্রহরী আমাদের গালাগাল করে। এক পর্যায়ে আমার এক কর্মীকে ঘুষি দেয়। পরে জানতে পারি যে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই আমরা চলে আসি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভূইয়াঁ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।