ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক স্বাভাবিক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ সেতুর মেরামত কাজ শেষ হওয়ায় ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। দীর্ঘ ৫৮ ঘণ্টা পর বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় বিকল্প সড়ক কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর, রামরাইল, ঘাটুরা, সুহিলপুর এবং বিশ্বরোড এলাকায় যানবাহনের কোনও দীর্ঘ সারি দেখা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ জেলার লাঙ্গলবন্দ সেতুর ডেক স্ল্যাবের একাংশের মেরামত কাজ শুরু হয়। এরপর ওই রাত ১০টার পর থেকে পুরোপুরি সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রিজ-সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা ময়নামতি মহাসড়ক হয়ে যানবাহন চলাচল করছিল। এতে করে ঢাকা-সিলেট ও ‍কুমিল্লা-সিলেট সড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ভোগান্তির শিকার হন পণ্যবাহী যানবাহনের চালক এবং কোরবানির পশুবাহী পাইকার এবং খামারিরা। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহনের যাত্রীদের ভোগান্তির মাত্রা ছিল অনেকাংশে কম। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ দেবব্রত কর বলেন, সোমবার সকাল থেকেই কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার সকালে পুরো মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে জেলার কসবা উপজেলার কালামুড়িয়া পর্যন্ত অন্তত ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। 

তিনি আরও জানান, যানজট সামলাতে সীমিত লোকবল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক বিভাগকে রাতদিন কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে বুধবার রাত থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এরপর থেকে বিকল্প সড়ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে যানবাহনের চাপ কমতে থাকে। মধ্যরাতের পর থেকে যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কমে যায়। সকালে মহাসড়েকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 

তিনি বলেন, লকডাউন শিথিল করায় মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে কোথাও যানজট নেই বলে জানান তিনি।