কোরবানির পশুর চামড়া কওমি মাদ্রাসায় দান না করার আহ্বান

কোরবানির পশুর চামড়া কওমি মাদ্রাসায় দান না করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে থেকে বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাস এবং ঋষি সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কর্মহীন এক হাজার সাধারণ মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।

বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে চেয়ারে বসিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ১০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, এক প্যাকেট সেমাই, ২০০ গ্রাম দুধ, এক কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক প্যাকেট নুডুলস ও দুটি সাবান রয়েছে।

IMG-20210716-WA0008

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির, ‘এই ত্রাণ সামগ্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান করোনাকালে কর্মহীন মানুষের জন্য এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এটি আপনাদের প্রাপ্য, আপনাদের অধিকার।’

তিনি বলেন, ‘যারা ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে গরু বাজারে যাবেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাবেন। এছাড়া কোরবানি পরবর্তী সময়ে পশুর চামড়া হালাল জায়গায় দান করবেন। কোনোভাবেই যেন পবিত্র পশুর এই চামড়া সন্ত্রাসী, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগকারী, দেশকে অস্থিতিশীলকারী কওমি মাদ্রাসায় দান না করা হয়।’ সেজন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলাখান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।