টেস্ট করাতে হাসপাতালে রোগীর চাপ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে রোগীর চাপ। করোনার টেস্ট করাতে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি বা নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখেই রোগীরা দীর্ঘ লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছেন। এ অবস্থায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি উপজেলা পর্যায়ে করোনার টেস্ট কমিয়ে দেওয়ার কারণে জেলা পর্যায়ে রোগীর চাপ বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে এক থেকে দেড়শ’ রোগীর করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হতো। কিন্তু আজ সকাল ৮টার পর থেকে হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। হাসপাতালে আসা বেশিরভাগ রোগীরই জ্বর, সর্দিসহ নানা উপসর্গ রয়েছে। তবে তারা নিরাপদ দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাদাগাদি করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টেস্ট করাচ্ছেন। 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওহায়িদুজ্জামান বলেন, হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে আসা রোগীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। তাই নিজেই হাসপাতালের উপরতলা থেকে নিচে নেমে এসেছি। হঠাৎ কেন রোগীর চাপ বেড়েছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। তবে যেটুকু জেনেছি উপজেলা পর্যায়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কমিয়ে দেওয়ার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। 

চাপ সামলানোর জন্য আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে অতিরিক্ত আরও একজনকে দায়িত্ব দিয়ে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট আরও বাড়ানো হবে। প্রতিদিন অন্তত দুইশ’ রোগীর যেন টেস্ট করানো যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগের মতো কারও ফোন কিংবা তদবির রাখা হবে না। লাইনে দাঁড়িয়েই সবাইকে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ২৬৯ জন আক্রান্তের মধ্যে চার হাজার ১৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৯৬৭ জন রোগী আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সেফ আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৯৪০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসা পাচ্ছেন ২৭ রোগী। এখন পর্যন্ত জেলায় ৪৪ হাজার ৭৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে সর্বমোট ছয় হাজার ২৬৯ জন। আর মারা গেছেন ৮৬ জন।