১৫ দিন ধরে ফাঁকা নেই করোনা ইউনিট, চালু হচ্ছে আরও ৫০ শয্যা

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৩০টি শয্যা ডেডিকেটেড করা হয়েছিলো। তবে শয্যা খালি না থাকায় গত ১৫ দিন ধরে সেখানে নতুন কোনও রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না। তাই এ জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় আরও ৫০টি শয্যা চালু করতে নতুন আরেকটি ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার বলেন, ‘করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধ পাওয়ায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের পাশের আরেকটি ভবনে ৫০টি শয্যা তৈরি করা হচ্ছে। যা এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।’

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন,  ‘জেলায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে যাতে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয় সেজন্য আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছি।’

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে রোগীর চাপ বেশি। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই বললেই চলে। দ্রুত সরকারিভাবে চিকিৎসক-নার্সের পাশাপাশি সহায়ক জনবল দরকার।’

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। গতকাল (বুধবার) শনাক্ত হয়েছে ২০৫ জন। অভিযোগ আছে, লক্ষ্মীপুরে যে হারে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, সে তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম। অনেকে নমুনা দিতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে একটি বুথে লোক দিয়ে প্রতিদিন ১২০/১৩০টির বেশি নমুনা নেওয়া সম্ভব না।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ উল্লাহ জানান, জনবল কম থাকায় তাদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বেশি নমুনা নেওয়া যাচ্ছে না। সদর হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য তিনটি বুথে তিনজন লোক দিলে এবং ল্যাবে জনবল বৃদ্ধি করলে দৈনিক ৪০০/৫০০ নমুনা সংগ্রহ সম্ভব।