করোনার টিকা বিক্রির অভিযোগ, তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নির্ধারিত সময়ের আগে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে টাকা নিয়ে করোনার টিকা দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে কমিটি। সোমবার (০২ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বির কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্য ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তদন্তে কী পেয়েছেন জানতে চাইলে তা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান বলেছেন, ‘ওই ঘটনা তদন্তে আমাদের দুই দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাবেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।’

তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এখন ব্যস্ত আছি- পরে কথা বলবো।’ এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় পুনরায় কল দিলে মোবাইল রিসিভ করেননি তিনি।’

গত শুক্রবার (৩০ জুলাই) শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং শনিবার শোভনদণ্ডী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত করোনার টিকা দেওয়া হয়। 

অভিযোগ উঠেছে, পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রবিউল হোসেন টাকা নিয়ে নিবন্ধন ছাড়া ব্যক্তিদের করোনার টিকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশকে কমিটির প্রধান করা হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল হায়দারকে কমিটির সদস্য করা হয়। কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।