টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. নুরু মিয়া (৪০) নামের এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। সে টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাত ২টার দিকে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

র‌্যাবের দাবি, নিহত নুরু মিয়া রোহিঙ্গা ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি দেশীয় অস্ত্র, দুইটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, বুধবার রাতে ওই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ১৫ মিনিট ধরে গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা জঙ্গলে ভেতর পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর মেহেদী হাসান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত র‍্যাব সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, ডাকাত জকির মারা যাওয়ার পর নুরুর নেতৃত্বে ক্যাম্প এলাকার খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মুক্তিপণ বাণিজ্য চলছিল। তার নিহতের খবরে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।