ঘরে বসে টিকা গ্রহণ, দুই আসামির জামিন

ঘরে বসে টিকা গ্রহণের ঘটনায় গ্রেফতার দুই জনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেস্ট হোসেন মোহাম্মদ রেজা এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ঘরে টিকা গ্রহণের ঘটনায় গ্রেফতার হাসান ও মোবারক আলীর জামিনের জন্য আজ আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।

গত শনিবার (৭ আগস্ট) নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের একটি বাসায় করোনার টিকা নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরদিন টিকা নেওয়ার ছবিসহ সহযোগিতাকারীকে ধন্যবাদ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন মো. হাসান নামের ওই যুবক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অশেষ ধন্যবাদ বন্ধু মো. মোবারক আলীকে, কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে সহায়তা করার জন্য। মডার্নার প্রথম ডোজ সম্পন্ন।’

তার পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে হাসান পোস্টটি ডিলিট করে দেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে খুলশী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (০৯ জুলাই) দুপুরে টিকার ব্যবস্থা করে দেওয়া তার বন্ধু মোবারক আলীকে আটক করে পুলিশ। 

সোমবার বিকালে এ ঘটনায় জড়িত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিটি করপোরেশনের জোনাল কর্মকর্তা তপন কুমার চক্রবর্তী। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুই জনকে সোমবার (০৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, ছবি দেখে চসিকের স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে-কে শনাক্ত করে সংস্থাটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

সেদিন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘরে বসে টিকা গ্রহণের ঘটনায় চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তপন কুমার চক্রবর্তী থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটক দুই জনসহ চার জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

মামলার চার আসামি হলেন- মো. হাসান, মোবারক আলী, সাজ্জাদ ও বিষু দে। এদের মধ্যে বিষু দে চসিকের মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিতে তাকে করোনার টিকা পুশ করতে দেখা গেছে। মামলার এজাহারে সরকারি টিকা আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।