‘১ ঘণ্টা বডি ম্যাসাজের পর দেলোয়ারকে হত্যা করে লক্ষ্মণ’

কুমিল্লার ময়নামতিতে ভাঙারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সেলুনের মালিক লক্ষ্মণ চন্দ্র শীল। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকালে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান উর্মির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। 

জবানবন্দিতে লক্ষ্মণ চন্দ্র আদালতকে জানিয়েছেন, পাওনা তিন লাখ টাকা পরিশোধে দেরি করায় দেলোয়ারকে হত্যা করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল।

আদালত ও পিবিআই সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে মনোহরগঞ্জ থেকে লক্ষ্মণ চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে বিকালে অভিযান চালিয়ে বাড়ির পাশে মাটির নিচে লুকানো অবস্থা থেকে দেলোয়ারের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পিবিআই। 

নিহত দেলোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জাহের আলীর ছেলে। তিনি বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। অন্যদিকে লক্ষ্মণ চন্দ্র শীল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী এলাকার সুধীর চন্দ্র শীলের ছেলে। 

মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, দেলোয়ার হোসেনের কাছে সেলুন মালিক লক্ষ্মণ চন্দ্র তিন লাখ টাকা পাওনা ছিল। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে দেলোয়ার দেরি করায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার রাতে দেলোয়ারকে সেলুনে ডেকে আনা হয়। সেলুনে প্রায় এক ঘণ্টা তার বডি ম্যাসাজ করে লক্ষ্মণ চন্দ্র। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে লাশ বস্তায় ভরে সেলুনে রেখে পালিয়ে যায়। এ হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি টিপরা বাজারের একটি মার্কেটে লক্ষ্মণ হেয়ার কাটিং সেলুনে দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সেলুনের তালা ভেঙে বস্তাভর্তি অবস্থায় দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।