আদালতে কথা বলছেন সিনহা হত্যা মামলার চতুর্থ সাক্ষী 

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে চতুর্থ সাক্ষী কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এরআগে, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ অন্য আসামিদের কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালতে প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, সোমবার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। 

রবিবার মোহাম্মদ আলী নামের ৩ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে পিপি ফরিদুল আলম বলেছিলেন, ‘রবিবার সারা দিন মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এ মামলা নিয়ে আদালতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলতে। যাতে কোনও মিডিয়া ট্রায়াল না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।’

এর আগে, ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও বাদী শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। প্রথমদিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইলফোনে কথা বলেন ওসি প্রদীপ। তার কথা বলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে।  

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।