১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল, ১১ আ.লীগ নেতাকর্মীকে মামলা থেকে অব্যাহতি

নোয়াখালীর পৌর এলাকায় সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) জারি করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে মাইজদী শহরে মিছিল করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

সুধরাম মডেল থানা পুলিশ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক সাঈদ আল নাঁহীর আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। নোয়াখালী কোর্ট পরিদর্শক মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম (১৯), বিজয় রবি দাস (১৯), হাবিবুর রহমান (১৮), ইফরান আহামেদ (২০), জাহিদ হোসেন (১৮), বিজয় (১৪), মো. রাসেল (২১), মো. আরজু (২৫), মো. জিহাদ (২০), মাহফুজুর রহমান (২১) ও মো. সোহেল (২৯)।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের তিন গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে নোয়াখালী পৌর এলাকায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। তবে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ওইদিন ১১টা ২০ মিনিটে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ৩০ থেকে ৪০ জন অনুসারী নোয়াখালী গণপূর্ত ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীরা হাতাহাতি শুরু করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ১১ নেতাকর্মীকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় সোমবার রাতে সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বাদী হয়ে ১৮৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার ১১ নেতাকর্মীকে আজ বিকালে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নুর আলম জিকু। 

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত ১১ আসামির সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।’

নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, ‘১১ জনের মধ্যে দুই/এক জন আমাদের লোক ছিল। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। তাদেরকে আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন দিয়ে দেন।’