বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ  

বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে সংঘগবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরী ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাদের করে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন তারা।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়াঁ বৃহস্পতিবার রাতে এসব তথ্য জানান। 

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, গ্রেফতার তিন জন হলেন লরির হেলপার মো. মেহেদী হাসান মুন্না (১৯), নৈশপ্রহরী মো. সাকিব (২১) ও মো. হাসান তারেক রনি (৪০)। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভিকটিম কিশোরী গত ৫ সেপ্টেম্বর তার ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে ডাক্তার দেখানোর জন্য আগ্রাবাদ যায়। আগ্রাবাদ যাওয়ার পর মানুষের জটলায় ওই কিশোরী ভাবিকে হারিয়ে ফেলে। এরপর আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের সামনে কান্না করতে থাকলে আসামি মুন্না তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠিয়ে নেয়। পরে বাসায় পৌঁছে না দিয়ে নগরীর সাগরিকা, অলঙ্কারসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে ঘোরাতে থাকে। এরপর রাত ১০টার দিকে বাসে করে কিশোরীকে সীতাকুণ্ড থানাধীন কালুশাহ মাজার এলাকায় নিয়ে যায় মুন্না। সেখানে আসামি শাকিবের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওই কিশোরীকে তিন জন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে।

ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর মেয়েটি ভয়ে পরিবারের সদস্যদের কিছু জানায়নি। বুধবার সন্ধ্যায় মুন্না কিশোরীর বাসার আশপাশে এসে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এসময় মেয়েটি তাকে দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। ঘটনা সবাইকে খুলে বললে স্থানীয়রা মুন্নাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুন্নাকে গ্রেফতার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে সীতাকুণ্ড বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে সাকিব ও হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় বোন থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান তিনি।