স্বামীকে দিয়ে মামলা তদন্ত করানো সেই এসআই বরখাস্ত

কক্সবাজার থেকে ফেনীতে বদলি হওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই লাভলী ফেরদৌসীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারে কর্মরত অবস্থায় তার করা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

পিবিআই ফেনীর এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে পিবিআই ফেনী জেলায় সংযুক্ত হন এসআই লাভলী ফেরদৌসী। কাজে যোগ দেওয়ার পরই তাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা এখানে আসে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসআই লাভলী কক্সবাজারে কর্মরত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় স্বামী শাহাজাহানকে নিয়ে বিভিন্নভাবে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ, ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে সম্প্রতি তাকে কক্সবাজার থেকে পিবিআই ফেনী জেলায় সংযুক্ত করা হয়। এসআই লাভলীকে বদলির পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রায় এক সপ্তাহ কক্সবাজারে অবস্থান করে অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে এসআই লাভলী ফেরদৌসীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশের শৃঙ্খলা আইনে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশে এসআই লাভলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির দায়িত্ব পালন করা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে স্বামীকে দিয়ে মামলা তদন্ত করার ঘটনায় পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিস্মিত এবং হতবাক। এটাই তাকে চরম বিপদে ফেলেছে। এসআই লাভলী ফেরদৌসীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর অধিকাংশই সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।’

এসআই লাভলী কক্সবাজার কোর্ট পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় রামুর চেইন্দা এলাকার শাহাজাহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তার স্বামী এসআই সাইফুল ও সন্তানকে ছেড়ে শাহজাহানকে বিয়ে করেন। পুলিশ কর্মকর্তাকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে বেপরোয়াভাবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন কর্মহীন শাহজাহান। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মামলা তদন্তে প্রভাব এমনকি পুলিশ কর্মকর্তা না হয়েও নিজেই স্ত্রীর মামলা তদন্ত করার অসংখ্য অভিযোগ ওঠে।