মুহিবুল্লাহ হত্যা: আটক ৪, দুজনের রিমান্ড আবেদন 

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও উখিয়া থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।

আদালতে সোপর্দ করা দুজন হলেন– উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি-ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম এবং অপর জন কুতুপালং তিন নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ।

এদিকে মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক চার জনের মধ্যে এপিবিএন রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে আটক করে। এ ছাড়া শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিমকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে এপিবিএন। অপরদিকে, উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকালে অপর রোহিঙ্গা শওকত উল্লাহকে আটক করে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমদ সন্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন, শওকত উল্লাহকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে আটক করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিন জন এবং উখিয়া থানা পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানিয়েছেন, তাদের আটক করা তিন রোহিঙ্গাকেই উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।