খাল উদ্ধারে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেলো ১ হাজার একর জমি

কুমিল্লার ভাউকসার-কার্জন সংযোগ খালটির বিজরা বাজার সংলগ্ন অংশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। খাল উদ্ধারে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেলো এক হাজার একর জমি।

স্থানীয়রা জানায়, খালটি বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ী ও বাউকসার ইউনিয়ন, লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়ন ও লাকসাম উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কার্জন খালে পতিত হয়েছে। প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটির বেশিরভাগ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ও কিছু অংশে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল। এতে তিন উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার একর জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসল উৎপাদন বিঘ্নিত হতো।

তিন ফসলি জমির অধিকাংশ অংশে কৃষকরা এক ফসলের বেশি ফসল ফলাতে পারতেন না। স্থানীয় কৃষকের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের উদ্যোগে খালটি পুনরায় খননের উদ্যোগ নেয়। খালের প্রায় ৩৬৫০ মিটার পুনরায় খনন করা হয়। 

লাকসাম উপজেলার বিজরা বাজার সংলগ্ন অংশের ৩৫০ মিটারজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনা থাকায় খালটি পুনরায় খননের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই খাল দখল করে গড়ে উঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়। 

সম্প্রতি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযানে লাকসামের সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।