মিতু হত্যা মামলায় এহতেশামুল হক ভোলার স্বীকারোক্তি

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

পিবিআই পরিদর্শক সম্তোষ কুমার চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিতু হত্যার ঘটনায় মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার আসামি ভোলাকে শুক্রবার রাতে বেনাপোল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে তোলা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

এর আগে ১৪ অক্টোবর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করতে সময়ের আবেদন করেছিলেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল ঢাকায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায়। এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, মিতু হত্যা ছিল কন্ট্র্যাক্ট কিলিং। বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় এটি সংঘটিত হয়। মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে তারা জানান। এরপর একইদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন।

এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরোয়ার জাহানের আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।