রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় আজিজুলের দায় স্বীকার

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আজিজুল হক। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে আজিজুল হক বলেছেন, ‘ঘটনার সময় অস্ত্র নিয়ে মুহিবুল্লাহর অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাকে তিন রাউন্ড গুলি করেন মাস্টার মাইন্ড আবদুর রহিম। তাদের গুলি মিস হলে তিনি মুহিবুল্লাহকে গুলি করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।’

তিনি আরও জানান, আবদুর রহিমের গুলিতে মুহিবুল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ কিলিং মিশনে ১৯ জন অংশ নেন। এতে একেক জনকে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব দিয়েছিলেন আবদুর রহিম।

এর আগে শনিবার ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আজিজুল হককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে তিনি মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নেন বলে স্বীকার করেছিলেন। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। শনিবার বিকাল ৫টায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে তাকে নিয়ে আসে উখিয়া থানা পুলিশ। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিচারক আজিজুল হকের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কার্তিক চন্দ্র জানান, গ্রেফতার আসামি আজিজুল হক মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করেন এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে মুহিবুল্লাহকে তার নিজ কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। লম্বাশিয়া ক্যাম্প ওয়ান ওয়েস্টে বাসার সামনে প্রতিদিনের অফিস করছিলেন মুহিবুল্লাহ। সে সময় একদল লোক এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে অন্যরা দ্রুত উদ্ধার করে পাশের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুহিবুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।