পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় করা মামলা সিআইডিতে

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় মো. ইকবালের বিরুদ্ধে করা মামলা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় করা এই মামলার বাদী পুলিশ।

ইকবাল হোসেন ছাড়াও মামলার আসামিরা হলেন নগরী দারোগাবাড়ি মাজারের দুই খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন এবং জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানানো ইকরাম। ইকবালসহ চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার (২৩ অক্টোবর) সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।

তিনি বলেন, কোরআন অবমাননার ঘটনায় ইকবালের বিরুদ্ধে করা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত চার জন গ্ৰেফতার হয়েছেন। 

শনিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে দুপুর ১২টার দিকে ইকবালসহ চার জনকে হাজির করা হয়। পরে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এম তানভীর আহমেদ বলেন, পুলিশের কাছ থেকে সিআইডিকে যেহেতু মামলাটি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে, সে জন্য সিআইডি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

এর আগে মামলার অন্যতম আসামি ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। পূজামণ্ডপে হনুমানের কোলে কোরআন রেখে গদাটি একটি পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। 

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়াগিঘির পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।