কোকেন মামলার চার্জ গঠন পেছালো

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে দায়ের করা মামলার চার্জ গঠন পিছিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ (তৃতীয়) মো. জসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা চোরাচালান মামলায় আজ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। শারীরিক অসুস্থ বোধ করায় আজ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদুল আলম সাক্ষ্য প্রদানে অনীহা প্রকাশ করায় আজ শুনানি হয়নি। আদালত আগামী ১০ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’

২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। পরে এ ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ওই বছরের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। একই মামলায় চোরাচালান আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন ওই মামলায় চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব-৭। আজ ওই মামলায় চার্জ গঠনের কথা ছিল।

মামলায় অভিযুক্ত ১০ জন হলেন– আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহমদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

তাদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন– মেহেদী আলম, এ কে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন নুর মোহাম্মদ। এ ছাড়া মোস্তাক আহমদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া শুরু থেকেই পলাতক আছেন।