নোয়াখালীতে বিশৃঙ্খলা: ৩ মামলা সিআইডিতে, গ্রেফতার আরও ৩ 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেওয়া হয়েছে। এদিকে মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত দুই জন ও এজাহারনামীয় একজনসহ তিন আসামিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম। 

ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হন বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর গ্রামের মৃত আলী আজ্জম এর ছেলে মো. আব্দুর রহিম (৭০), একই উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে মো. খোরশেদ আলম রাসেল (২৭) ও হাতিয়া উপজেলার চর কৈলাশ গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে এজাহারনামীয় সাহাবউদ্দিন (৪৫)।

এসপি শহীদুল বলেন, চৌমুহনীতে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলা ও কলেজ রোডের তিনটি মন্দির ভাঙচুরের মামলা এবং ব্যাংক রোডের দুটি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তিনি আরও বলেন, মন্দির ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ২৬ মামলায় ২০৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি ৯১ জন এবং সন্দেহভাজন ১১৩ জন। এদের মধ্যে ছয় জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) মো. বশির আহমেদ বলেন, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা জড়িত, মদত দিয়েছেন এবং যারা এখনও আইনের আওতায় আসেনি, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।