চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের একজন মারা গেছেন

চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলী এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ একই পরিবারের ছয় জনের মধ্যে সাজেদা বেগম (৪৮) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দগ্ধ ছয় জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের মধ্যে সাজেদা বেগম গতকাল রাতে মারা গেছেন। চার জনের অবস্থা এখনও আগের মতোই।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ভবনের মালিক মমতাজ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসা থেকে আকবর শাহ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, কয়েকবার বলার পরও গ্যাস লাইন মেরামত না করায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ এনে বাড়ির মালিক মমতাজ মিয়ার বিরুদ্ধে সাজেদা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ জামাল শেখ মামলা করেন। মামলায় মালিকের শ্যালক বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকেও আসামি করা হয়। এর পর রাতে মমতাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বখতিয়ারকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ সদস্য

এর আগে সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে মশার ব্যাটের সুইজ দিতেই নগরীর উত্তর কাট্টলি এলাকার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন মরিয়ম ভবনে ছয় তলার ফ্ল্যাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই বাসায় থাকা একই পরিবারের ছয় জন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে আকবর শাহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। 

দগ্ধরা হলেন- সাজেদা বেগম (৪৫), তার ছেলে শাহাজাহান (২৫), জীবন (১৪) ও স্বাধীন (৭), মেয়ে রেশমি আক্তার মাহি (১০) এবং বড় ছেলের স্ত্রী দিলরুবা বেগম (২২)। তাদের মধ্যে সাজেদ বেগম মারা গেছেন। আর দিলরুবাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর ডা. রফিক উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দগ্ধদের মধ্যে দিলরুবা বেগম ছাড়া সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারও কারও ৩৫ থেকে ৮৫ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে দিলরুবার সাত শতাংশ শরীর পুড়ে যায়।