ইকবালসহ ৪ জন আরও তিন দিনের রিমান্ডে

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চার জনের তৃতীয় দফায় আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথের আদালতে হাজির করে সিআইডি। পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিন করে মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় ইকবাল হোসেন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।

সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জোনান, প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চার জনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

পূজামণ্ডপে কোরআন, ইন্ধনদাতাদের নাম বলেছেন ইকবাল

এর আগে ২৩ অক্টোবর আদালতে হাজির করা হলে আদালত ইকবাল, মাজারের দুই খাদেম ও ৯৯৯-এ কল করা ইকরামকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ২৯ অক্টোবর আদালত আবারও ইকবালসহ চার জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের সংগ্রহকৃত সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে শনাক্ত করে পুলিশ। ২১ অক্টোবর তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরদিন কুমিল্লা আনা হয়।