ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল: কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, মানুষ ভুল-ত্রুটি করবে; এটাই স্বাভাবিক। কেউ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। গত এক বছরে আমার সবচেয়ে বড় যে ভুল ছিল, তাহলো আমি আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। দেশের একজন সফল সৎ রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমি অনুতপ্ত। 

মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) সত্যবচনের সফলতা ও ব্যর্থতার এক বছর উপলক্ষে রাত ৮টায় নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের মির্জা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতিমুক্ত কোনও মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগ নেই। প্রায় সবগুলো দফতরই কোনও না কোনোভাবে ছোট-বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হলো পুলিশ প্রশাসন। আমার প্রতিবাদের পর দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক সেতু সচিব বেলায়েতের এক্সট্রেনশন না হওয়াও দুর্নীতিবাজ আমলাদের জন্য একটি হুঁশিয়ারি সংকেত।

তিনি বলেন, দুর্নীতির যে সংস্কৃতি এখন বাংলাদেশে চালু হয়েছে; তা বন্ধ করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে এবং সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। তবেই দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে।

মেয়র কাদের মির্জা আরও বলেন, আমার সফলতা হলো জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। আমার পৌরসভা নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ৭৭ ভাগ ভোট পাওয়াকে বড় সফলতা মনে করেন তিনি। ভোটের দিন দেশের গণমাধ্যমের দৃষ্টি ছিল বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনের দিকে এবং তারা সেটি প্রচার করেছে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক হতে বাদ দেওয়া আরেকটি সফলতা হিসেবে যোগ করেন মেয়র কাদের মির্জা।

তিনি আরও বলেন, আমার সত্যবচনের কারণে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, করতে হবে। সফলতার সঙ্গে প্রতিবন্ধকতা আছে। এজন্য সব অন্যায়কারী, অপকর্মের হোতা অপরাজনীতিকরা একজোট হয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, একটি বলয় তৈরি করেছে।

কাদের মির্জা বলেন, অপ্রিয় সত্য কথাগুলো প্রকাশ করা যায় না। অপ্রিয় সত্য কথা বলার কারণে দেশের মানুষ আমাকে গ্রহণ করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই বলতে চায়, কিন্তু সাহস করে বলতে পারে না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলেছি। সফলতা ও ব্যর্থতা থাকবে। যতদিন বাঁচবো সাহস করে সত্য কথা বলবো। তাই বলে সত্য বলা থেকে বিরত থাকবো না। অন্যায় অনিয়ম অপরাজনীতির হোতাদের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো।