কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় না বলতে-লিখতে নির্দেশ

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় অবস্থিত আদালত ভবন এলাকাকে পরীর পাহাড় বলা এবং লেখা যাবে না বলে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের দেওয়ানি আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ইসরাত জাহান নাসরিনের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে রবিবার (৭ নভেম্বর) মামলার বিবাদীদের তিন দিনের মধ্যে পরীর পাহাড় লেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হবে না- এর ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিবাদীপক্ষ জবাব দাখিলে সময় চেয়েছেন। আদালত সময় মঞ্জুর করেছেন। একইসঙ্গে আদেশ দিয়েছেন, কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় হিসেবে প্রচার, নথিপত্রে উল্লেখ এবং পত্র বিনিময়ের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বিবাদীপক্ষ যখন জবাব দাখিল করবেন তখন এ বিষয়ে শুনানি শেষে পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেবেন।’

এর আগে, রবিবার কোর্ট হিল না পরীর পাহাড় হবে তা নির্ধারণ করতে দেওয়ানি মামলা করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন। মামলায় আনা অভিযোগে বলা হয়, বর্তমান জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামে যোগদানের আগে সব সরকারি নথিতে পাহাড়টিকে ‘কোর্ট হিল’ হিসাবে উল্লেখ করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি সেটা পরিবর্তন করে পরীর পাহাড় লেখা হচ্ছে। পরে ওই দিন মামলাটির শুনানি শেষে মামলার বিবাদীদের তিন দিনের মধ্যে পরীর পাহাড় লেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হবে না- তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান ও বাকলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুর রহমানকে।