কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: আরও এক আসামি গ্ৰেফতার

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইমরান খন্দকার (২০) নামে আরও এক আসামিকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, বুধবার রাতে কুমিল্লা শহরের আলেখার চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ইমরান কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সুজানগর এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানান, ২২ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় তার মামাতো ভাই জিসান (এজাহারনামীয় ৮নং আসামি) তাকে ফোন করে তাদের বাসার দিকে যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এজাহারনামীয় আসামি শাহ আলম, সাব্বির, জেল সোহেল, সাজেন ও মাসুমসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে দেখতে পান। তারা তিনটি কালো ব্যাগে অস্ত্র, গুলি ও হাতবোমা ভর্তি করছিল। ইমরান ও জিসান তাদের ব্যাগভর্তি করতে সহযোগিতা করেন। তারপর ব্যাগ তিনটি ইমরান ও জিসানকে দিয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। তারা অস্ত্র, গুলি ও বোমা ভর্তি ব্যাগ তিনটি সংরাইশ এলাকায় রহিম ডাক্তারের গলিতে তাজিহা লজ নামে বাসার ভেতরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। গ্রেফতার আসামি ইমরানকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ইমরানসহ কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় এজাহারভুক্ত চার জন ও এজাহারের বাইরে তিন জনসহ মোট সাত জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে এই মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এর আগে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মামলার ৩ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো. সাব্বির রহমান (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।