চট্টগ্রামে এবার খালে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ

চট্টগ্রামে এবার খালে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপে খেলতে গিয়ে কামাল উদ্দিন (১২) নামে এক পথশিশু নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শিশুটি তলিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। তবে অধিক আবর্জনার কারণে এখনও উদ্ধার কাজ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। নগরের ষোলশহর ভূমি অফিসের সামনে চশমা খালে এই ঘটনা ঘটে।

ওই সময় একসঙ্গে খেলা করা কামালের বন্ধু মোহাম্মদ রাকিব উদ্দিন (১১) বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, তারা দুজন মিলে ভাঙারি মালপত্র সংগ্রহ করতে ওই এলাকায় যায়। সেখানে খালের মধ্যে আবর্জনার শক্ত স্তূপ দেখে দুজন খালে নেমে খেলতে থাকে। একপর্যায়ে আবর্জনা সরে গেলে দুজনই তলিয়ে যেতে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর রাকিব উঠতে পারলেও কামাল তলিয়ে যায়। এরপর সে আন্দরকিল্লার বাসায় গিয়ে ঘটনা জানায়।

কামালের বাবা কাউসার উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবারের লোকজন গতকাল রাত পর্যন্ত সেখানে কামালকে খুঁজতে থাকে। আজ সকাল থেকে আবারও তারা খালের বিভিন্ন অংশে কামালকে খুঁজে দেখে। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

বায়োজিদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারা বিকাল ৪টার দিকে খবর পেয়ে সাড়ে ৪টা থেকে কামালকে উদ্ধারে নেমে পড়ে। ডুবুরি দলের কিছুক্ষণ চেষ্টার পর দেখে, সেখানে আবর্জনার স্তর বেশ পুরু। তাই ঠিকমতো উদ্ধারকাজ চালানো যাচ্ছিল না। তারা আবর্জনা অপসারণে স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগিতা চেয়েছেন। আবর্জনা সরালে উদ্ধারকাজ ভালোভাবে করা যাবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় কাউন্সিলর মোরশেদ আলমের মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

চট্টগ্রাম নগরে গত পাঁচ মাসে খাল ও নালায় পড়ে চার জনের প্রাণ গেছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া নগরের শেখ মুজিব রোডের নালায় তলিয়ে গেলে পাঁচ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২৫ আগস্ট টানা বৃষ্টিতে ষোলশহর এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেলে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজী ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ (৫০)। তার খোঁজ এখনও মেলেনি।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুন একটি সিএনজিচালিত আটোরিকশা চশমা হিল এলাকায় খালে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে চালক মোহাম্মদ সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগমের মৃত্যু হয়।