হরিপদের নিহতের ১৬ দিনের মাথায় মায়ের মৃত্যু

সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হরিপদ সাহার মা রেনুবালা সাহা মারা গেছেন। সন্তান হত্যার ১৬ দিনে মাথায় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটায় নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়ার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

রেনুবালার মেজো মেয়ে বুলু বালা সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমার ভাইডা মাডারে দেখতো। মা যেদিন থাইক্কা টের পাইছে আমার ভাই হরিপইদ্দা আর নাই, হেদিন থাইক্কা ঠিকমতো খানাদানা নাই। কেউ আমডার বাইত আইলে হেরার দিকে চাইয়া থাকতো। চোখ দিয়া ইশারা দিতো। হরিপইদ্দা কই? আমার ভাইডার শোকে আমার মা ও চইল্লা গেলো।’

প্রতিবেশী দুলাল সাহা বলেন, ‘রেনু বৌদির বয়স হইছে এটা ঠিক। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ছিলেন। তবে তার ছেলে হরিপদের নিহতের শোকটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিক্কারচর শ্মশানে রেনুবালার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

রেনুবালার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। নিহত হরিপদ সাহা ছিলেন সবার ছোট। গত পাঁচ মাস আগে হরিপদের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। মায়ের সেবা যত্ন আর কাউন্সিলর সোহেলের সঙ্গে সময় কাটতো হরিপদের।

গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর কার্যালয়ে ডুকে একদল সন্ত্রাসী কাউন্সিলর  সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনয় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়।

জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাত ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এ ছাড়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এজাহারনামীয় তিন আসামি নিহত হয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।