ডাকাতির পর দুই নারীকে ধর্ষণ: ৫ জনের দুবার করে যাবজ্জীবন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির পাশাপাশি চার নারীকে ধর্ষণের দায়ে পাঁচ ডাকাতকে দুবার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬–এর বিচারক মঈন উদ্দিন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো—মিজান মাতব্বর, আবু সামা, মহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, ইলিয়াছ শেখ ও আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মেম্বার। এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান খালাস পেয়েছে। ছয় আসামির মধ্যে ইলিয়াছ শেখ পলাতক।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ডাকাতি করতে ঢুকে ওই বাড়িতে দুই নারী ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩)/৩০ ধারায় একই সাজা অর্থাৎ আবারও তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মামলা করা হয়।

ঘটনার ২১ মাস পর ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ডাকাতির সময় চার নারীকে ধর্ষণের কথা বলা হলেও আসামিদের জবানবন্দি, ভিকটিমদের সাক্ষ্য থেকে জানা গেছে— চার জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেও দুই জনকে ধর্ষণ করেছিল। অভিযোগপত্রে ছয় জনকে আসামি করা হয়। 

পিপি নজরুল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণে ২১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।