বসতে দিলে শুতে চায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালত পৃথক দুটি মামলায় ১৭ বছর সাজা দিয়েছেন। এত কিছুর পরও মানবিক কারণে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেন প্রধানমন্ত্রী। এখন বিএনপি নেতারা বলছেন, তাকে বিদেশে যেতে দিতে হবে। একটা কথা আছে না—দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায়, আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়। তাদের অবস্থাও এরকম।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা সদরের সড়ক বাজারে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে বলেছিলেন, পরিবার আবেদন করেছে খালেদা জিয়া অসুস্থ, আইনের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করো। সেদিন তাকে আমরা দুটি শর্তে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। শর্তগুলো হলো—তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না এবং বাড়ি থেকে চিকিৎসা নেবেন। তবে হাসপাতালে যেতে বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন, শুনেছেন, জেনেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই আমি জানি, যে আইনের কথা বলছি এবং আমি যে আইনে এটা নাকচ করেছি সেটা আল্লাহর রহমতে সঠিক। তারপরও কোথাও উনাদের (বিএনপি) আইনজীবীদের কথা অনুযায়ী কোথাও কোনও নজির আছে কিনা দেখার জন্য একটু সময় নিয়েছি। আর উনারা সেই সময় নেওয়ার সুযোগে বলেন আন্দোলন করবেন। মানবিকতা আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। আইনকে আইনের গতিতে চলতে দিন। বিএনপি বা জিয়ার গতিতে আইন চলবে না।

আনিসুল হক বলেন, পরিষ্কার কথা, আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত আবার বিবেচনা করার সুযোগ থাকে না। তাই দুইবার খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন আদালত নাকচ করেছেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার প্রমুখ।