মিতু হত্যা: মুছার সঙ্গে ‌‘পরামর্শ’ করতেন বাবুল আক্তার

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আব্দুল সাত্তার মোল্লা। তিনি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও তার সোর্স মুছা শিকদারের পূর্বপরিচিত। 

আব্দুল সাত্তার বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের আগে সোর্স মুছা শিকদারের সঙ্গে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে কথা বলতেন বাবুল আক্তার। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর যখন মুছার ছবি দেখানো হয়, তখন বাবুল দাবি করেছিলেন, তিনি তাকে চেনেন না। অথচ মুছাকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে বাবুল অনেক অভিযান পরিচালনা করেছেন। বাবুলের বাসায় বাজারও করে দিতেন মুছা।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আব্দুল সাত্তার মোল্লা। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল ও নিখোঁজ আসামি মুছা শিকদারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা হত্যাকাণ্ডের আগে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন শলা-পরামর্শ করেছেন। সাক্ষী আব্দুস সাত্তার তাদেরকে ভালোভাবে চেনেন এবং জানেন।

তিনি আরও বলেন, এর আগে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার দাবি করেছিলেন, তিনি মুছা শিকদারকে চেনেন না। ঘটনার পরপর যদি তিনি ছবি দেখে মুছাকে শনাক্ত করতেন, তাহলে মামলার তদন্ত আরও সহজ হতো।

মামলার পঞ্চম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করছেন ওমর ফারুক। তদন্ত শুরুর প্রথম সপ্তা তিনি একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে সোপর্দ করলেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় জিইসির মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মিতুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। কিন্তু তদন্ত পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুলের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আদালতে গত ১২ মে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। 

ওইদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে নতুন আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে বাবুল আক্তার এখন ফেনী কারাগারে।