ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফুলবাড়িয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগামীকাল শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা বিএনপি এবং জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমাবেশ ডাকা হয়েছে। এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

একই সময়ে ও স্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগ সমাবেশ ডাকায় যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারসহ ওই এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান স্বাক্ষরিত পত্রে সেখানে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার দুপুর ২টায় ওই স্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ে পূর্বঘোষিত সমাবেশ আহ্বান করা হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু একই স্থানে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ আহ্বান করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি  হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে আমরা সমাবেশ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। আগামীকাল আমাদের সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে হঠাৎ জানতে পারলাম, এখানে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। আমরা জানি না কেন করা হয়েছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এবং পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমানকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তারা কোথায় আছেন, এখনও জানি না। তবে ঘটনা যাই হোক আগামীকাল যেকোনও মূল্যে সমাবেশ করা হবে।’

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন জানান, গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। কিন্তু ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থাকায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি হয়নি। প্রশাসনের কাছে আবেদন অনুযায়ী আগামীকাল শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কর্মসূচি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তারা জানান, তাদের সমাবেশ স্থলে যদি কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে তাহলে যেকোনও মূল্যে প্রতিহত করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, সমাবেশকে ঘিরে কোনও পক্ষই যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সে জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থান রয়েছে। জেলা বিএনপির শীর্ষ চার নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।