৯০ বছর বয়সে বিয়ে করে আলোচনায় আইনজীবী ইসমাইল

বয়স ৯০। এই সময় সমবয়সীদের অনেকেই হাতে ধরেছেন লাঠি। কিন্তু এক প্রবীণ আইনজীবী ধরেছেন নতুন জীবন সঙ্গিনীর হাত। তিনি কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির পাঁচবারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল ( ৯০)। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে নগরীর দেশওয়ালিপট্টিতে অর্ধশত বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি যান ইসমাইল। পরে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নববধূ মিনরা আক্তারকে নিয়ে আসেন নিজ বাড়িতে।

সন্ধ্যায় আইনজীবী ইসমাইলের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাসায় আগত সহকর্মীদের সঙ্গে নববধূর পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে সবাইকে খুশিতে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিবেশী ও নিকটজনেরা একের পর এক শুভ কামনা জানাতে আসছেন।

আইনজীবী ইসমাইল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রথম স্ত্রী মাহমুদা বেগম সাত বছর আগে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। কদিন ধরেই সঙ্গে থাকা জুনিয়র কলিগ ও নিকটজনরা বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করেন। পরে তিনি মিনরাকে বিয়ে করেন। প্রথম সংসারে পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তাদের ঘরে আছে ছয় নাতি-নাতনি। 

তিনি আরও বলেন, একাকীত্ব দূর করার জন্য আমি মিনরাকে ঘরে এনেছি। আমার মতো যারা প্রবীণ আছেন, একা থাকলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একাকীত্ব দূর করেন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকা যাবে। মিনরা খুবই গুণবতী, রূপবতী নারী। আমার তাকে খুবই ভালো লেগেছে। আমরা যেন সুখে শান্তিতে কাটাতে পারি সবাই দোয়া করবেন।

নববধূ মিনরা বলেন, আমার আগে একটা বিয়ে হয়েছিল। সে সংসার টেকেনি। এখন ইসমাইল সাহেবের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছে। আমি খুব আনন্দিত। এই পরিবারটা খুবই ভালো। সবাই এসে আমাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। সবাই আমাদের দেখতে আসছেন এটা খুবই ভালো লাগছে। 

মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের বড় ছেলে অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহাক সিদ্দিকী বলেন, বাবার এই বয়সে বিয়ে নিয়ে নারাজ নই। বরং বিয়ে করে ফোন করার পর আনন্দিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আব্বু ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকবো। তাছাড়া উনার নাতি-নাতনিরাও আনন্দে মেতে উঠেছেন। 

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, ইসমাইল সাহেবের মতো প্রবীণ আইনজীবী কুমিল্লা আদালতের একটা অলঙ্কার। তার এই শুভ খবরে কুমিল্লা আদালতের সবাই খুশি।