সৌদি আরবে বাংলাদেশি যুবককে গলা কেটে হত্যা 

করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বশির আহমদ (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সৌদিআরবের আল কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বশির আহমদের গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহত যুবক বশির আহমেদ কুমিল্লার চান্দিনা পৌর এলাকার তুলাতলী গ্রামের মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। 

স্বজনরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাজের জন্য সৌদি আরবে যান চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট বশির আহমেদ। সেখানের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন বশির। ওই কোম্পানিতে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার। বন্ধুত্বের সুবাদে কোম্পানির একটি ক্যাম্পে তারা একসঙ্গে থাকতো। 

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ওই বন্ধুরা ওই শহরের কোন এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। রাতে ক্যাম্পে না ফেরায় নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করে বশিরের আত্মীয়-স্বজন। পরে সৌদি পুলিশ এ ঘটনায় এক পাকিস্তানি যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বশিরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ওই যুবক। 

এ ঘটনায় পুলিশ এক বাঙালিসহ দুই পাকিস্তানি যুবককে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

বশিরের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী মোজাম্মেল হক জানান, তারা যে ক্যাম্পে থাকতো সেখানকার পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিক তাকে করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে রুম থেকে ডেকে নেয়। ওই রাতে তারা রুমে ফিরলেও ফিরেনি আমার ভাই। তার রুমে থাকা অন্যরা আমার ভাই সম্পর্কে জানতে চায়। তখন তাদের কেউ বলে হাসপাতালে আছে, আবার কেউ বলে বন্ধুর নিকট আছে। তাদের কথায় গরমিল পেয়ে পরদিন সোমবার বিকালে ওই রুমে থাকা অন্যরা পুলিশে ঘটনাটি জানায়। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ দুই পাকিস্তানি ও এক বাঙালি যুবককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গলা কেটে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে।  

মোজাম্মেল আরও জানান, আমার ভাই কয়েক মাস বাড়িতে টাকা পাঠায়নি। তার কাছে অনেকগুলো টাকা ছিল। ওই টাকার লোভে আমার ভাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুন নাহার জানান, মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নিহতের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো।