সুবর্ণচরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ, আহত ১২

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ হামলায় ১০-১২ জন আহত হয়েছেন এবং ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চরহাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টায় ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে চরজব্বর ইউনিয়নের চেওয়াখালী বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তার নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, কর্মীদের ওপর হামলা, প্রচার কাজে বাধা, ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ফেরার পথে ইউনিয়নের চরহাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে পৌঁছালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা পিটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ থেকে ১২ জন কর্মী ও সমর্থককে আহত করে এবং ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের দাবি, তার ১০০ জন সমর্থককে পিটিয়ে আহত এবং ১০০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তার অভিযোগ, ‘নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা আমার গাড়ি বহরে আকস্মিক হামলা চালায়। আমার তিন সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে ধরে নিয়ে যায়।’

নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ‘এটি আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাজানো নাটক। এর সঙ্গে আমার কোনও কর্মী বা সমর্থক জড়িত নয়। আমি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’

চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ ৫৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আহত হয়েছে এবং কতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে এর প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওই বাজারে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি প্রশাসন থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।